আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� ছিলে� একজন বাংলাদেশ� ঔপন্যাসি� এব� ছোটগল্পকার� তিনি মাত্� দুটি উপন্যা� রচনা করলে� সমালোচকর� তাঁক� একজন শ্রেষ্� বাঙালি ঔপন্যাসি� হিসেবে� বিবেচন� করেন� এই দুটি উপন্যাসে� বাইর� ইলিয়া� মাত্� তেইশটি ছোটগল্� এব� বাইশটি প্রবন্� লিখেছেন। ইলিয়া� সমাজ, রাষ্ট্� এব� জনগণের একজন একাগ্র পর্যবেক্ষক ছিলেন। তিনি তাঁর লেখা� চরিত্রগুলোকে বিভিন্� সামাজি� শ্রেণি এব� অবস্থানে� প্রতী� হিসেবে সুদক্ষভাবে রূপায়ন করতেন। লেখা� সময় তিনি চেষ্টা করতে� ঐতিহাসিকভাবে নির্ভু� থাকত�, ফল� তিনি পাঠকের স্বাচ্ছন্দ্যের চেয়ে লেখা� অন্তর্নিহি� গুরুত্বকেই বেশি প্রাধান্� দিয়েছে� সবসময়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালমৃত্যু� ফল� তাঁর সৃজনশী� জীবন খু� দীর্ঘায়িত হত� পারেনি, কিন্তু তাঁর লেখাগুলো বাংল� সাহিত্যে ধ্রুপদী সৃষ্টি হিসেবে স্থা� পেয়েছে�
Akhteruzzaman Elias was a Bangladeshi novelist and short story writer. Despite the fact that he only wrote two novels, critics consider him to be one of the finest Bengali novelists. Besides these two books, Elias wrote only 23 short stories and 22 essays. Elias was a good observer of society, state, and people as he created his characters symbolising social classes and positions. He always strived to be historically accurate when writing, even if it meant pushing readers out of their comfort zones. His creative life was cut short by a premature death from cancer, but his writings are regarded as Bangla literature classics.
পুরো বিকেলট� নিরন্ত� বৃষ্টি� দমকে কেটে যায়� অযথা একটা বিকে� অপচয� হয়ে যাচ্ছে এই চিন্তাটা� �/� বা� মাথায় ঘুরপাক খেয়� নিউরনে খেলা করে। জানালা� ধারে ইলিয়াসে� সঙ্গ� বস� অবিরাম বৃষ্টি� নাচন দেখছ�..কো� সারা নে�..মুখে কথ� নে�..চুপচাপ� একসময় হঠাৎ নিজে� লুপ্� অস্তিত্বের কথ� ভুলে গিয়� লেখক নিজে থেকে� সা� খেলানো সুরে "মিলি� হাতে স্টেনগান" কোথা থেকে এল� সে� কথাই বলতে শুরু করলেন।
'৭১ এর যুদ্ধে� পর মিলি� ভা� এব� তা� বন্ধুবান্ধ� বন্দুক জম�-না-দিলে আজকে� এই ঝড়ো বৃষ্টি� মত� কেমন একটি ব্যর্থ দিনে� সূচন� হয� সেটা� বললে� তিনি� আব্বাস পাগলার তীব্� গলায� এব� মিলি� নিরন্ত� জিজ্ঞাসা� ভেতর দিয়� লেখক নিজে� চেতনাক� বুঝিয়� দিলেন।
এসময� প্রব� বিস্ময়ে লেখকের দিকে চেয়� থাকত� হয়। টিনে� চালে বৃষ্টি� ধর� আস� শব্দ� লেখকের কন্ঠকে আমার ধীরে ধীরে মন� হয� দারু� অপার্থিব এব� আবেশঘন� . এরপর মাঝখান� বে� কিছুদি� কেটে যায়� লেখকের সাথে আমার মোলাকা� হত� খানিকট� সময় লাগে� তারপ� বৃষ্টি-বাদল� কম� এল� আমাদের পরবর্তী গল্পটি শুরু হয়।
এবার গল্পটি দানা বাঁধ� একেবার� তিস্তানদী� পাড় ঘেঁস� যখ� ইলিয়াসে� সঙ্গ� হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছ� যা� খোলমহাটি� মৌলবী কসিম উদ্দীনে� বাড়ি। সেখানে মৌলবী� স্ত্রী জয়ন� এব� তা� � সন্তান ক্ষুধা� তাড়নায় সামান্� "দুধভাত� উৎপা�" শুরু কর� দেয়�
লেখক এই গল্পের প্রতিট� খুঁটিনাট� এব� কলকব্জ� এত� চমৎকার নিখুঁতভাবে বর্ণনা কর� যা� যে মন� হয� সমস্তই চোখে� সম্মুখ� দেখত� পাচ্ছি�
চোখে� সামনের এইসব বেপরদা দৃশ্� খুলে খুলে পড়ত� কিছুটা সময় লাগে� ফে� থিতু হয়ে উঠলে নতুন একটি গল্প শুনবার ইচ্ছ� প্রকাশ করি। ইলিয়া� সাহে� এসময� সামান্� নীরব থাকেন। হয়ত গল্পের প্রয়োজন� কিংব� অন্য যে কো� কারণেই হো� তিনি কথ� বলেন না� একদিকে বিস্তীর্� জম� আর অন্যদিকে বিপু� জলরাশি।নদী� পা� ধর� দুজন� নীরব� হাঁটছি� আমাদের "পায়ের নীচে জল"� হঠাৎ স্মি� হেসে লেখক হা� নেড়� নেড়� গ্রা� এব� শহরে� প্রেক্ষাপট� গল্প শুরু করেন�
একদিকে আতিক উচ্চশিক্ষা� জন্য সমস্� জমিজমা বিক্রি কর� দিলে অন্যদিকে আলতা� মৌলব� বিপু� সংখ্যক জমির বদৌলতে জমিদার� পালত� চায়� এই গল্পের মূ� আবেশটি তৈরি হয� যখ� আতিক জমির কথ� তোলে� তখ� যে� সমস্� আচ্ছন্� সু� একটি ওঙ্কার তুলে বিস্মৃতি� দিকে উড়ে যায়..
অত্যন্� শক্তিমান গল্পকা� আখতারুজ্জামা� ইলিয়া�--- এই � টি কথাই তিনি ফে� স্মর� করিয়ে দে� আমাক� "দখ�" গল্পটি বলতে গিয়ে।
গল্প শুনত� শুনত� আমার কানমাথ� ক্রম� ঝা� ঝা� কর� ওঠে। বারবার মন� হয� এই গল্পটি এভাব� লেখা কিছুতেইসম্ভব নয়। অথচসমস্ত অসম্ভবকে এক লহমায় সরিয়ে দিয়েলেখ� যে গল্পটি তৈরি করেন সেটি অবিশ্বাস্য� কী বিপু� লেখকের অভিজ্ঞতা! কী প্রচণ্� তীব্� তাঁর কন্ঠস্বর!
'৭২ এর প্রেক্ষাপট� আওয়ামীলী� শাসি� বাংলাদেশ� সেখানে ভূমিহারা প্রান্তি� মানুষে� প্রতিবাদকে লেখক তুলে ধরেন এক আশ্চর্� কৌশলে।
প্রচণ্� বিরক্ত� লাগা এইসব দিনকাল� কিছু ভাবত� ইচ্ছ� করেনা। ভাবত� কষ্টলাগে� যা কিছু করতে ভা� লাগত� সবকিছু বিরক্ত লাগে� অস্তিত্ব কে প্রশ্ন করতে বিরক্ত লাগে� পার্সিসেন্� ডিপ্রেসি� ডিসর্ডার না কি ঐস� কো� কিছু ভাবত� ইচ্ছ� করেনা। নিজেকে উদ্ভ্রান্ত মন� হয়। আখতারুজ্জামা� এর লেখা সাইকেডেলিক জার্নি� মত� লাগে� আমার কি হচ্ছ�? আমাদের কি হচ্ছ�?
দুধভাত� উৎপা�, প্রায় ৩৫ বছ� আগ� লেখা একটি গল্প� কিন্তু এখনও কি ভীষণ পাংক্তেয�(এট� কি আদ� কো� শব্দ নাকি আম� মাত্� বানালা�?)! প্রলেতারিয� দুর্দশ� এব� বুর্জোয়� শোষণের বাস্তব একটা ছব� দেখিয়েছেন ওহিদুল্লার মায়ের অভাবের তাড়নায় 'কালা গা�' বিক্রি কর� দেয়ায� পরেও ছেলেমেয়েদের দুধভাত খাওয়ানো� খায়েসের মধ্যে। শেষাংশ� নির্দে� পালনের জন্য� ওহিদুল্লাহ অজান্তেই যেভাবে নড়ে ওঠ�, সেটা� কি শোষিতে� দিকে ইঙ্গিত কর� না? এই সঙ্কলনের প্রথ� গল্প 'মিলি� হাতে স্টেনগান' আমার অন্যতম পছন্দে� একটা ছোটগল্প। সেটা নিয়� পর� বিস্তারি� লেখবো।
আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� লেখা নিয়� খু� বেশি মন্তব্� কর� যায়না� মুক্তিযুদ্� পরবর্তী সময়ের সমাজ � রাজনৈতিক বাস্তবতা� ছায়� পাওয়া যায় লেখাগুলোতে� তব�, মিলি� হাতে স্টেনগান নামক বিখ্যত গল্পটা আম� খু� একটা বুঝত� পারিনি� তাসত্বেও পড়ত� আমার বে� ভালই লেগেছে� গল্পগুলো� বিশেষত্ব হল, কাহিনী এব� তা� পরিনাম তেমন একটা মুখ্� বিষয� হয়ে ওঠেন�, কাহিণী বলবা� জন্য বা কাহিনী� পরিনাম পর্যন্� পৌছত� যে বর্ণনা এব� ঘটনা পরম্পর�, তা� মুখ্� এখান� এব� সেখা� থেকে� গল্পের মূ� স্বা� পাওয়া সম্ভব। বা� বা� হাতে নেবা� মত বই� পড়বার জন্য রেকমেন্ডেড� এক বসায� পড়েছি�
গল্পগুলো আমাদের খুবই পরিচিত� আমরা সবাই জানি এম� ঘটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই কেমন ঘট�? শহুর� লেখক আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� তা� দুধভাত� উৎপাতে শহ� হয়ে নিয়� আমাক� গেছে� দূরবর্তী গ্রামে�
মিলি� হাতে স্টেনগানের প্রয়োজনীয়তা এমনিতে� তৈরি হয়নি। দেশট� এখনও মুক্� হয়ন�, স্বাধীনতার বহুবছর পর� আমরা শুদ্� রাজনীতি� ছোঁয়া পাইনি।
দু��ভাতে উৎপাতে অহিদুল্লার বয়ানে দেখত� পা� তা� পরিবারের দারিদ্রতার চিত্র। যখ� আধ মন চালে� ঋণ শো� করতে না পারা� অপরাধে তা� গা� নিয়� যাওয়া হয� তখ� অপরা� হয� না কিন্তু সে� গাইয়ে� কিছু দু� চাইত� গেলে সেটা হয়ে যায় মহাপাপ� তব� লেখক দমবা� পাত্� নন, তা� আভাস দিয়েছেন লড়া� চালাবা�, নিজে� গা� ফিরিয়� আনবার।
পায়ের নিচে জল গল্প� আমরা প্রতিশ্রুত� ভঙ্গের বঞ্চনা দেখত� পাই। ধনকুবেরর� দিনক� দি� আর� ধনী হবার সংকল্প করেই যে� সুবিধাবঞ্চিতের প্রত� তা� দায়িত্ব পালন করে। আর দখ� গল্প� গ্রা� বাংলার পুঁজিপতিদে� আচরণের বিপরীতে কৃষকদে� অবস্থা� পরিষ্কার করেন যা� মাধ্যম� আমরা দেখি শ্রেনি সংগ্রামে� ইঙ্গিত�
শ্রেনি সংগ্রা� আম� খু� ভালো বুঝি না� শুধু বুঝি দখ� আর বঞ্চনা� বিরুদ্ধে সোচ্চা� ধ্বন� যা সমাজের উচ� থেকে নিচু পর্যন্� সমস্� শ্রেনি থেকে তোলা সম্ভ� এব� আবশ্যক�
১৯৮৫ সালে� রচিত আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� "দুধভাত� উৎপা�" গল্পগ্রন্থটি আছ� চারট� গল্প� প্রতিট� গল্প আলাদা। প্রতিট� গল্প গেঁথ� যায় মনের গভী� থেকে গভীরে, পাঠক সত্ত্বার শেকড়ে�
প্রথ� গল্পটি হল মিলি� হাতে স্টেনগান� প্রচণ্� সাহসী লেখা একটি গল্প� সে� সত্যকে নিয়� রচিত যাকে নিয়� প্রাবান্ধি� আলোচনা হলেও ফিকশনে উল্লেখ এসেছ� খু� কম� মুক্তিযুদ্� শে� হবার পর প্রায় সাড়� তি� লক্ষ আগ্নেয� অস্ত্র যে� হাওয়া মিলিয়� যায়� সে� সাথে বিপথ� চল� যায় কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা� সে� কখনো না খুঁজ� না পাওয়া অস্ত্র দিয়� কি হয়েছি� একটা ধারণ� পাওয়া যায় এই গল্পটি থেকে�
দ্বিতীয় গল্পটি না� শিরোনামে দুধভাত� উৎপাত। দেশীয় যাজকতন্ত্রের আড়ালে সামাজি� শোষণকে খু� সূক্ষ্মভাব� আর পুঁজিবাদকে সরাসরি বিধেছে� লেখক� গল্পটি পাঠ্� পরবর্ত� প্রভাব অনেক বেশি� ঘোরলাগা। যে� ঘট� মাত্� সবকিছু চোখে� সামনে।
তৃতীয় গল্পটি� না� পায়ের নিচে জল� পিতৃ সম্পত্তি বিক্রি করতে আতিক নামে একজন তরুণ আস� যমুনার তীরবর্তী একটি গ্রামে� নদীভাঙ্গন প্রব� এলাকায� মানুষে� বেঁচ� থাকা� অবলম্ব� একমাত্� বাঁধ� এখানেও লেখক তীব্� শ্রেণী বৈষম্যকে নগ্ন কর� উপস্থাপন করেছেন� পূর্�-পুরুষে� ভিটা যেখানে আমাদের পিতাদে� শৈশব কেটেছে, কৈশো� কেটেছে কিন্তু সে জায়গা� প্রত� আমাদের নে� কো� যত্ন, কো� আবেগ সে� শেকড়ক� নাড়� দিয়� যায় গল্পটা�
সবথেকে সাহসী এব� প্রিয় ছি� এই শে� গল্পটি� গল্পটি� না� ছি� দখল। কমিউনিষ্� আদর্শে� উপ� এই গল্পটি ছি� লেখকের ট্রিবিউট� তব� রক্ষীবাহিনীকে এই গল্প� যে নেতিবাচক রূপে অঙ্ক� করেছেন সেখানে লেখকের সাহসের ব্যাপারট� বিশেষভাব� চোখে পড়ে� মৃ� কমিনিউষ্� পুত্রে� কবরে� পাশে মৌলবাদী পিতা� কবরস্থ হবার তীব্� আকুলতা� কিন্তু আকুলতা শুধু সন্তান বল� নয�, সে� আকুলতা� মাঝে ছি� অমরত্বের লোভ। যে অমরত্ব মানু�, মানুষে� জন্য প্রজন্মে� পর প্রজন্� বুকে বয়ে বেড়ায়।
আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে সৃষ্টি নিয়� লেখা� আমার জন্য ধৃষ্টতা। তবুও মন� হল গল্পগ্রন্থটি সম্পর্কে কিছু লিখল� যদ� একজন পাঠক� গল্পগুলো পড়ে স্বার্থক হবে।
আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যি� মহাশ্বেত� দেবী বলেছেন, "কী পশ্চিম বাংল� কী বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্� লেখক�" লিখেছে�, "ইলিয়া�-এর পায়ের নখের তুল্� কিছু লিখত� পারল� আম� ধন্য হতাম�"
মন এব� দেহে� সাথে মিলন ঘটিয়ে এক অপূর্ব সমন্বয� করার ক্ষমতা আছ� আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� মধ্যে।এক বদ্ধতা� আবেশ থেকে মানুষে� যে মুক্তি -মুক্তি� আকাঙ্ক্ষ� তা� উৎপত্ত� কোথায়??এর উত্ত� তিনি দিতে চেষ্টা করেছেন তা� গল্পপটে। মানুষে� জীবনবো� এব� সমাজ অবস্থা� সংগ্রহ করেছেন প্রকৃত� থেকে, তা� সাথে কিছুটা রুপকল্পনা।
আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� তা� জীবন� গল্প লিখেছে� মাত্� ৩০ �, তব� এই ত্রি� গল্প� তাকে বাংল� সাহিত্যে� শক্তিমান লেখক হিসেবে প্রকাশ কর� দিয়েছে। এই বইয়� মো� গল্প আছ� পাঁচটি� প্রিয় গল্প মিলি� হাতে স্টেনগান�
দুধভাত� উৎপাতে তিনি মার্ক্সবাদী হিসেবে কিছুটা আত্মপ্রকাশ করেছেন� সেটা ভালই লেগেছে� মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� না বর� যুদ্� পরবর্তী যে অসহযোগতা সারা বাংলায� দেখা দিয়েছিল তা� প্রভাব এই বইয়� এসেছে। একাত্তরে� পরের কয়েকবছর বে� শক্ত অবস্থানে রাজনীতিরর হা�-চা� প্রকাশ করেছেন� এছাড়া তা� গল্প� উঠ� এসেছ� সাম্যবাদ, উত্ত�-আধুনিক বাংলাদেশের সমাজ ব্যাবস্থ�, যেখানে দল� দল� মানু� শহরবাসী হচ্ছে। গ্রামে� শিকড� উপড়� পাখা মেলছ� শহরে� ডানায়, আকাশে।
ছোট্টো একটা বই মাত্� চারট� গল্প নিয়�-- � মিলি� হাতে স্টেনগান ♦দুধভাতে উৎপা� ♦পায়ে� নিচে জল ˦দখল প্রতিট� গল্প� রয়েছে আলাদ� বৈশিষ্ট্য। পরিবেশ সমাজ � সময়টা হয়ত� এক তব� প্রেক্ষাপট আলাদা। মুক্তিযুদ্�, দারিদ্র্�, শোষণ � নিপীড়� ভিন্� ভিন্� চরিত্র দিয়� প্রকাশ পেয়েছে। তখনকার সমাজ ব্যবস্থা� সাথে শোষণ আর দারিদ্� টা যে� আষ্টেপৃষ্ট� রয়েছে�
ইদানীংকালের ভো� পালটান� সোনা� ছেলেদে� মত ক্যাডা� গোছে� চটিনেত� কা� স্মাগলার রানা� ভাষায় ইনটলারেব� বাস্টার্� আব্বাস পাগল� যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা� পরিস্থিতির প্যাঁচ� পড়ে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘট� আব্বাস পাগলার� কিন্তু সত্যিই কি মস্তিষ্কের বিকৃতি আব্বাসের নাকি এই পুরো সমাজের? আব্বাসের প্রতিট� কথাবার্ত� আপাতদৃষ্টিতে অসংলগ্� কিন্তু দ্বিতীয়বা� পড়লেই বুঝত� পারা যায় আব্বাসের কথাগুল� কতটা নির্মম চাঁচাছোলা। আব্বাস কী আসলে� পাগল নাকি পুরো সমাজটা� অদ্ভুত বেশ্যাবৃত্তি করতে বাজারে নেমেছে? রানা-সোহে�-সিডন�-ফয়সাল এই একএকজন কী এই বেশ্যাদে� বাজা� গর� কর� দালালদের কাতারে পড়ে না? ইলিয়া� প্রশ্ন রেখে যায়...
গল্পগুলো একান্ত বাংলাদেশের � বাংল� ভাষাভাষী এই অঞ্চলে� মানুষে� � ইলিয়াসে� গল্পের ঠা� বুনট� এসেছ� এই অঞ্চলে� মানুষে� জীবন, সাধারণ জীবন, প্রবাহমা� জীবন, অতী�, বর্তমা�, চাওয়া পাওয়া � ইলিয়াসে� বর্ণনাতে ভিজুয়ালের জো� আছ� � প্রকৃত�-প্রতিবেশের বর্ণনা যেভাবে করেছেন এমনট� নিজে� অভিজ্ঞতায় নিয়� আসতে পারাটা� এক বিশে� প্রাপ্তি � ধন্যবা� ইলিয়া� � গল্পের ভাষা, বর্ণনা যত যা� হো� গল্পটা� কিন্তু আস� � আর এম� গল্পের স্বা� শুধু ইলিয়াসই দিতে পারে� � বাংলাদেশের মানুষে� জীবনের ঘা� প্রতিঘাতের স্তর� স্তর� এম� সব দি� থেকে আল� ফেলে গল্প ফেদেছে� ইলিয়া� যে তা� এই অঞ্চলে� মানুষে� ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনত� আর মানুষে� মনোজগৎ নিয়� বোঝাপড়া, তা� ধীশক্তির প্রমাণ পেয়� অবাক না হয়ে পারা যায় না � মস্তিষ্ক� কারো বিচিত্� সব কল্পনা� উৎপা� না থাকল� কলমে� ডগায� এম� সব গল্প আস� না � তব� যা� হো�, গল্পগুলো আধুনিক সময়ের � এই আধুনিক সময় এক বিচিত্� অর্থনৈতি� ব্যবস্থা� যু� � এই যুগে, এই মহান ব্যবস্থা� স্বভাববশ� এম� কিছু মানুষর জন্ম এব� বেড়� ওঠ� খু� স্বাভাবি� যারা সোজা হয়ে দাঁড়িয়� থাকল� তাদে� মধ্য� মেরুদণ্ডের অভাব লক্ষণীয় � এম� সব চরিত্র যে খু� খারা� প্রকৃতির তা কিন্তু না � মধ্যবিত্� শ্রেণি� এই ম্যান্দা মারা দলের প্রতিনিধ� বলেই মন� হয়েছে "পায়ের নিচে জল" আর 'দখ�" গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র দুটি যে সে� বিশে� দলের প্রতিনিধ� তা বল� দেয়ার অপেক্ষ� রাখে না � অনেকটা কামু� মরসো� বা কাফকার গ্রেগর সামসার ধাঁচের � তব� শুধু চরিত্রের গভীরে যা মি�, গল্পের স্বাদে ইলিয়া� স্বতন্ত্� নিশ্চয়ই � মজার ব্যাপা� হচ্ছ�, "মিলি� হাতে স্টেনগান" গল্প� স্বাধীনত� পরবর্তী সময়� যেভাবে বাস্তবতা� জল� জাদুবাস্তবতা মিশিয়েছেন তা� এক বিচিত্� অভিজ্ঞতা �
দূর্দান্� সব গল্পগুলো� ছোট্� বইটাতে যদিও মোটে � টা ভিন্� ভিন্� গল্প� আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� গল্প বলায� আছ� আঞ্চলিকত�, আঞ্চলি� জনজীবনের টানাপোড়েন, মুক্তিযুদ্ধে� পরবর্তী সময়কা�, দু:�, কষ্ট, যন্ত্রণা, ক্ষো� আর মানুষে� গল্প� সবগুলো গল্পেই তা� নিজে� সময়কালক� আঁকা� তীব্� চেষ্টা ছিল।
এখনকার সময়� দাঁড়িয়� লেখকের সে� সময়ের গল্পগুলোকে বাস্তব মন� না� হত� পারে� গল্পগুলোতে তিনি মহান কো� চরিত্র রচনা করেননি কিন্তু তাদে� মাধ্যম� দেখিয়েছেন যুগে যুগে বুর্জোয়াদের শোষণ, নতুন দে� গড়া� প্রাক্কালে সুবিধাবাদীদে� দাপট� শ্রেণিবিভে� ঘোচাতে হব� তা সে শহরে হো� কিংব� গ্রামে এটাই যে� তা� প্রতিট� গল্পের মূ� গন্তব্য।
সবগুলো গল্পের পটভূমি এক অঞ্চলে� গাঁথ�; উত্তরবঙ্গ। লেখা� মাঝে বামধারার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী বে� লক্ষ্য করার মত� লেখক � অঞ্চলে� এব� বামধারার ছিলে� বল� হয়ত� লেখায় এসবে� সহজা� ছা� ছি� কিংব� হয়ত� এভাব� লেখাটা� তা� জন্য সুবিধাজন� ছিল।
হাতে সময় কম থাকল� নিমিষে� পড়ে ফেলা যায় গল্পগুলো� জড়ত� ছাড়াই গল্প এগুত� থাকে বহতা নদী� মত� সময় একটু বেশি থাকল� চিন্তা-ভাবনার� অবকা� থাকে বৈকি�
দক্ষিণ বঙ্গের মেয়� হওয়ার সুবাদে সেখানকার প্রতিট� আনাচেকানাচের সাথে পরিচয় জন্মসূত্রে,ভাষা ঐতিহ্য রীতিনীতি সবকিছু যেখানে নখদর্পনে সেখানে উত্তরবঙ্গে� সবকিছু� আমার কাছে ধোঁয়াশাময�,আনিসুল হকের এক আয়েশামঙ্গ� পড়ে সেখানকার ভাষা আর অবস্থানট� হালকার উপ� ঝাপস� ভাবে জানত� পারলেও ইলিয়া� সাহেবে� এই বইটা ছি� আমার জন্য অনেকটা নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের মত�.
মন্দ�, দুর্ভিক্�,স্বাধীনত� পরবর্তী সময়� রক্ষীবাহিনী� সাথে সাধারণ মানুষে� সংঘর্ষ প্রতিট� জিনি� এত ��ুন্দ� কর� ফুটে উঠেছ� যে আমার মন� হচ্ছিল তাদে� সাথে যু� যুগান্তর ধর� পরিচয় আমার
আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� খোয়াবনামা বা চিলেকোঠা� সেপা� গল্প দিয়েই বেশিরভাগ লোকে� হাতেখড়ি হয� তাঁর সৃষ্টি� সাথে, কিন্তু এই চিরায়� পথ� না হেঁট� দুধভাত� উৎপা� দিয়� শুরু করাট� নেহাতই মন্দ হয়ন� চারট� গল্পের মধ্য� আমার দুধভাত� উৎপা� আর দখ� এই দুটো গল্প দা� কেটেছে বেশি
গল্পসমগ্� থেকে গল্পের ক্রম ধর� যত সামন� এগোচ্ছ� প্রিয় লেখক ইলিয়াসে� ছোটগল্পে� প্রত� মুগ্ধত� যে� খানিকট� ফিকে হয়ে আসছে� মোটাদাগে � বইয়ের ‘পায়ে� নিচে জল� আর ‘দখল� গল্প দুটি এক� রকমের। শহরে বড� হওয়� সন্তানের গ্রামে গিয়� বাপে� রেখে যাওয়া জায়গাজম� বিক্রি সংক্রান্� প্যাঁচ� পড়া, সঙ্গ� আছ� গ্রাম্� রাজনীতি এব� শোষি� আর শোষকের দ্বন্দ্ব� গল্পের সময়কা�, পরিণতি বা বার্তায় ভিন্নত� থাকলেও এই মিলে� ব্যাপারট� আমার কাছে বড� হয়ে� ধর� দিয়েছে। ‘চিলেকোঠার সেপাই� উপন্যাসে� আনোয়ারক� গ্রামে গিয়� ঠি� এমনই পরিস্থিতিত� পড়ত� দেখি� আবার ‘মিলির হাতে স্টেনগান� গল্পের মিলি � আব্বাস পাগলার কর্মকাণ্� মন� করিয়ে দেয় ওসমা� আর হাড্ডি খিজিরকে। ইলিয়া� খু� বেশি লেখেনন�, এই অল্প লেখা� মধ্য� এম� পুনরাবৃত্ত� দেখে ভাবছ� তাঁর কম লেখা নিয়� আমাদের আফসো� বোধহয় অকার�!
- বই নিয়� কথ�- দুধভাত� উৎপা�- আখতারুজ্জামা� ইলিয়া�
বাংলাদেশের এক� অনন্� � ব্যতিক্রমী লেখক আখতারুজ্জামা� ইলিয়াস। তা� দীর্� সাহিত্� জীবন� ছোট্� কাজে� পরিসরে� অন্যতম � অত্যন্� ভারী কা� “দুধভাতে উৎপাত� গ্রন্থটি� তিনি ১৯৮৫ সালে এই গল্পগ্রন্থটি লিখেছিলেন। গল্পগ্রন্থের চারট� প্রশস্� গল্প তিনি লিখেছে� ভিন্� ভিন্� প্রেক্ষাপট নিয়ে। মুক্তিযুদ্� � যুদ্� পরবর্তী নানা� জটিলতা, গ্রামী� জনসমাজ, অভাব অনটন, নদীপাড়ের মানু� � কুসংস্কৃতি, ধর্মকে ব্যবহা� কর� এক শ্রেণী� মানুষে� মোড়� হয়ে উঠ�, রাজনৈতিক চালচিত্র ইত্যাদ� যে� গলার মালা� মত� একের পর এক গেঁথ� গেঁথ� সাজিয়েছেন পুরো বই জুড়ে।
“দুধভাতে উৎপাত� গল্প� লেখক নিম্নশ্রেণী� অর্থনৈতি� জটিলতায় ভোগা, আশ� আকাঙ্ক্ষার অপূর্ণতায় জর্জরি� যন্ত্রণাদায়� এক মুসলিম জনগোষ্ঠী� কথ� উল্লেখ করেছেন� যেখানে এক স্বপ্নদ্রষ্ট� কায়ক্লিষ্টত� ভেঙ্গে চুরমার কর� তা� সন্তানদে� মৃত্যুঅব্দ� ‘দুধেভাতে� রাখা� স্বপ্ন দেখেন। তৎকালী� মুসলিম অবহেলি�, বঞ্চিত, শোষি�, প্রলেতারিয়া� মানুষে� পুনরায� সিঁড়ি বেয়� উঠার সংকল্পটি তীক্ষ্� সূচে� ন্যায় গল্পের মাঝে নিহি� রাখত� সফ� হয়েছেন। তা� এই সংলাপে ব্যবহৃ� ইউনি� সব ভাষাশৈলী আর� এক ধা� বাড়তি তা� সত্ত্বার অনন্� ব্যক্তিত্ব � স্বাতন্ত্র প্রকাশ করেছে।
চারট� গল্পের মধ্য� আমার সবচেয়� পছন্দে� গল্প “দখল� গল্পটি� এট� বইয়ের শে� গল্প� গল্পটি স্বাধীনতার নিকট পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্� কর� রচিত� অত্যন্� সাহসী � অপ্রতি� এক ফুটস্টেপ আই গেস। সমাজতান্ত্রিকে বিশ্বাসী এক ছেলে� সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠায� প্রাণনাশের পর� যে ফে� তা� পিতা� জিহ্বায় লেগেছি� তা� এক ভিন্নধর্মী দৃষ্টিকো� উক্ত গল্প� চিত্রায়� হয়েছে� তা� চিন্তা� পরিধ� সত্যিই অপরিমাপযোগ্য� যুগে যুগে কেবল একটি� আখতারুজ্জামা� পাওয়া যায় প্রত� সমাজে। এই গল্প� তিনি রক্ষীবাহিনীকে নেতিবাচকভাবে এঁকেছে� তা� শব্দের স্রোতে� কখনও হয়ত কে� চিন্তা� করবে না যে একজন পিতা তা� সন্তানের পপ্যুলারিট� পাবা� তাড়নায় সন্তানের মৃত্যুকে� হাতছাড়া করতে চায় না, বেঁচ� থাকাকালী� তো নয�-�, ইভেন কবরস্ত ছেলে� পাশে নিজে� কব� খুঁড়ে মৃত্যু� পরেও সে� পিতা� অবিনশ্বর যশ � বৈভব লাভে� লালস�, লিস্পা তা লেখকের অভিনবত্বের পাশাপাশি লেখকের আদর্শকেও ইঙ্গিত করে। এই গল্পের প্লট � বাস্তবতা লেখককে বিয়ন্� দ্যা আর্থ মাত্রায় বিশেষায়িত করেছে। একটি সিরিয়াস ঘরানার লেখা� মাঝে তিনি যে স্যাটায়ার ঢুকিয়েছেন যা আমরা “পায়ে� নিচে জল� গল্পেও স্বাধীনভাব� লক্ষ্য কর� তা পড়ত� পারা একজন পাঠকের জন্য� বিশে� � রোমাঞ্চক� অভিজ্ঞতা বল� মন� করি।
সামগ্রিকভাবে বললে, লেখক তা� গদ্যতে একটা অনন্� সাধারণ দৃষ্টিকো� প্রোথি� করার চেষ্টা করেছেন� আঞ্চলি� ভাষা� সহ�-সদ্ভাব-সঠিক ব্যবহা� গল্পের মধ্য� পাঠকের চিত্তে কোনো ধরনে� কাঠিন্যত� তৈরি করেনি। বর� গল্পটিকে বানিয়েছ� অতী� প্রাঞ্জল, বাস্তবধর্মী � অসম্ভব সচেতন। আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� লেখা শুধু বিনোদনের অং� নয�, এট� সমাজের প্রতিফলক, জাতীয় � প্রান্তি� সমস্যাচিহ্নি� মানুষে� জন্য মুখপত্�, রাজনৈতিক, অর্থনৈতি� � সামাজি� অস্থিতিশীলতার পর্যবেক্ষণ� যা গল্পগ্রন্থ কিংব� উপন্যা� থেকে পাঠ্যপুস্তকে পরিণ� হয়। একজন পাঠক কিংব� লেখক উভয় শ্রেণী� মানুষে� নিজস্ব সত্ত�, দর্শ�, সংস্কৃতি � সামাজি� রীতিনীতি-বাহু বিক্ষেপণ জানত� � গঠনে “দুধভাতে উৎপাত� পরিধানযোগ্� � অসন্দিগ্ধ।
গল্পগ্রন্থটি বেরিয়েছ� মাওল� ব্রাদার্� থেকে� চারট� গল্প ৯৪ পৃষ্ঠায় বিন্যস্ত এই ছোট্� পুস্তকটি� মুদ্রি� মূল্� রাখা হয়েছে দু�'� টাকা� এর প্রচ্ছদটাও কম আকর্ষণীয় নয�; প্রচ্ছ� করেছেন বিখ্যা� চিত্রশিল্পী "কামরুল হাসা�"�
জীবন্ত কিংবদন্ত� কব� হেলা� হাফি� সাকুল্যে কবিতার বই ছেপেছে� তিনটি। তাঁর একটি কবিতার বই 'যে জল� আগুন জ্বল�'-� ১৯৮৬ সা� থেকে এখ� পর্যন্� দোর্দন্ড প্রতাপ� রাজত্ব করছে� কবির কবিতাগুল� পড়ল� মন� হব� অমরত্ব পেতে অনন্তকাল লিখে যাবা� দরকা� নেই। সেরাটুকু সযত্নে অল্প একটু ছিটিয়� দিলে� যথেষ্ট�
কথাগুল� বলছি, কারণ, এক� উপলব্ধ� বারবার হব�, যখ� আপনি স্বল্পপ্রজ লেখক আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� গল্পগুলো পড়ত� যাবেন। পরিমাণ� সামান্� লিখে গেছে� ইলিয়াস। 'চিলেকোঠা� সেপা�' খ্যা� ইলিয়া� যা লিখেছে�, সাহিত্যমান� তা বাংল� সাহিত্যে� অনন্� এক উচ্চতায় উঠ� বস� আছে। চারট� গল্পের সংকল� 'দুধভাত� উৎপা�' গল্পের বইটি বে� হয� ১৯৮৫ সালে� মাত্� চারট� গল্প� 'মিলি� হাতে স্টেনগান', 'দুধভাত� উৎপা�', 'পায়ের নিচে জল' আর 'দখ�'� চারট� ভিন্� প্রেক্ষাপটের আর স্বাদের। এক 'মিলি� হাতে স্টেনগান' নিয়� বলতে বসলে একটা রচনা ফাঁদ� যাবে� মুক্তিযুদ্� পরবর্তী সময়ের এক ভিন্নরূপের বাস্তব চিত্রায়� আছ� গল্পগুলোতে� বুর্জোয়� শোষণ এব� প্রলেতারিয� দুর্দশার বাস্তব চিত্� ফুটে ওঠ� পরতে পরতে� পাওয়া যায় শ্রেণি সংগ্রামে� সূক্ষ্� ইঙ্গিত�
স্ল্যা� যে চরিত্র � দৃশ্যে� বৈষয়ি� রুপায়নে কতটা দরকারি, তা� পুরোটা বুঝেছে� ইলিয়াস। গালি নিয়� কা� আসলে� আগ� দেখিনি� যে সহজসাধ্য সাবলীলতায� আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� গালিগুলো লিখেছে�, সংবেদনশী� পাঠক তাতে ধাক্কা খাবে�! আব্বাস পাগল� পুরা� ঢাকা� টানে যে গালিগুলো মুহুর্মুহু দিতে থাকে তা একদম মন�-মগজে গিয়� বিঁধবে�
আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� সবমিলে দুটি উপন্যা�, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্� সংকল� রেখে গেছেন। 'দুধভাত� উৎপা�'-বইটি বাকি বইগুলো পড়বার উত্তুঙ্গ আগ্র� তৈরি কর� দিল।
বইটা শুরু করার আগ� গু� রিডস থেকে রিভি� গুলি পড়ে নিলে ভা� হত� অনেক� অনেক সুন্দর কর� কো� গল্প� লেখক কি বুঝিয়েছেন সেটা ধরিয়ে দিয়েছেন যেটা আম� বইটা পড়া� সময় ধরতে পারছিলাম না তা� খু� একটা মন� আনন্� নিয়� পড়ত� পারি নাই।
আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� লিখা পড়ত� গেলে� নিজেকে অনেক অপরিণত পাঠক মন� হয�, আম� আসলে� তা� কিন্তু উন� সেটা চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দেন।
সে� যে ঈশ্বরী পাটন� করজোড়� প্রার্থন� করেছিলেন, "আমার সন্তান যে� থাকে দুধে ভাতে", যুগে যুগে সব মায়েদের মঙ্গ� প্রার্থনার ধর� তো সে� এক� সুরে গাঁথা। সামান্যই তো দুধভাত, তা কি যে অসাধার� হয়ে উঠ� আসলো আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� কলমে! চা� টা কেবল গল্প, এক একটা� যে কি অসহনীয় ভা�, কি গভী�, কি বিষণ্ণ সুন্দর�